“সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা” এ ভিশন বা রুপকল্প অর্জনের লক্ষ্যে দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার নীতি ও উন্নয়নে কর্মকৌশল গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ১৯৭২ সালে মার্চ মাসে সর্বপ্রথম শিক্ষা, ধর্ম ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নাম পরিবর্তন করে শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালের মার্চ মাসে এর পুন:নামকরণ করা হয় শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এর বিস্তৃতি আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৯৩ সালের আগস্ট মাসে এটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা মন্ত্রণালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ২টি বিভাগে বিভক্ত করা হয়। একটি “মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ” এবং অপরটি “কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ”।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ মাধ্যমিক স্তর হতে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত নীতি নির্ধারণী ও অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। এ ছাড়া শিক্ষা বিষয়ক প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আইন, বিধি-বিধান প্রণয়ন করে থাকে। এ বিভাগের মূল দায়িত্ব হচ্ছে আওতাধীন ২৩টি দপ্তর-সংস্থা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম তদারকি করে শিক্ষাকে মানসম্মত এবং সকলের জন্য সহজলভ্য করা। বর্তমানে প্রাথমিক স্তর পরবর্তী জুনিয়র স্কুল ২৪০৬টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬৫৬২টি, স্কুল এন্ড কলেজ ১৪৮০টি, কলেজ ৩৩৪১টি এবং ৫৬টি পাবলিক (মেডিকল বিশ্ববিদ্যালয় ০৫টি) ও ১১৫টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন সংস্থাসমূহ প্রাথমিক স্তর পরবর্তী স্বীকৃত সকল কারিগরি ও মাদ্রাসাসমুহের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম তদারকি করে থাকে। বর্তমানে ১৯০ টি সরকারি এবং প্রায় ৫০০০ টি বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ০৩টি সরকারি মাদ্রাসা এবং ৭৬২০ টি বেসরকারি মাদ্রাসা চালু রয়েছে।
এক নজরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইতিহাস
মার্চ ১৯৭২ |
শিক্ষা, ধর্ম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় |
ডিসেম্বর ১৯৭৪ |
শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় |
মার্চ ১৯৮৪ |
শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় |
আগষ্ট ১৯৯৩ |
শিক্ষা মন্ত্রণালয় |
নভেম্বর ২০১৬ |
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ |